শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

মাস্টারের চোখে মাহি: একান্ত সাক্ষাৎকারে সচিন তেন্ডুলকর

শামিম হাসান খান ঃ

অধিনায়ক হিসেবে এম এস ডি-র নাম তিনিই সুপারিশ করেছিলেন বোর্ড, নির্বাচকদের কাছে। কী কারণ ছিল? প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? সদ্য অবসর নেওয়া মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে নিয়ে আনন্দবাজারের সঙ্গে মঙ্গলবার একান্ত আলাপচারিতায় সচিন তেন্ডুলকর। ব্যাটসম্যান মাহি থেকে অধিনায়ক ধোনি, তাঁর অধীনে বিশ্বকাপ জয়। সব কিছু নিয়ে খোলামেলা বিশ্লেষণে মাস্টার-ব্লাস্টার।

প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা

২০০৪-এ আমরা বাংলাদেশ গিয়েছিলাম। আমি ধোনিকে নেটে দেখছিলাম। তার পরে ওই ওয়ান ডে সিরিজেই কিছুক্ষণ ক্রিজে কাটাতে দেখলাম। সেটাই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে ওকে দেখা। খুব বেশি রান করতে পারেনি। ড্রেসিংরুমে আমি সৌরভের পাশে বসেছিলাম। অন্যরাও ছিল। ধোনির ব্যাটিং দেখে আমাদের আলোচনাটাই চলছিল, ছেলেটা কত জোরে বল মারতে পারে! শুনলাম, ঘরোয়া ক্রিকেটে এ ভাবেই জোরে বল মারার জন্য ওর পরিচিতিও হয়েছে। আমি যদিও তার আগে ওর ব্যাটিং দেখিনি।

সেই ম্যাচে বিশেষ কোনও শট

একটা শট খেলেছিল, যত দূর মনে করতে পারছি লং-অফে। ব্যাট বলকে আঘাত করার যে শব্দটা শুনেছিলাম, সেটাই বলে দিয়েছিল, ছেলেটার মধ্যে বিশেষ ধরনের শক্তি রয়েছে। আমি সৌরভকে বলেছিলাম, ইস লড়কে কা ব্যাট সুইং মে আলগ সা কুছ ফিলিং আ রহা হ্যায়। (এই ছেলেটার ব্যাট সুইং দেখে খুব বিশেষ ধরনের মনে হচ্ছে)। আরও বলেছিলাম, এন্ড মে ইমপ্যাক্ট কা টাইম এক ঝটকা হ্যায়। (শটের শেষে একটা ঝটকা দেয়)।  ওই ঝটকা থেকে অনেকটা শক্তি আমদানি করছে শটে। বলেছিলাম, ইস লড়কে কে ব্যাট সুইং মে জান হ্যায় (এই ছেলেটা যে ভাবে ব্যাট ঘোরায়, তার মধ্যে অন্য রকম প্রাণ রয়েছে)। সৌরভের সঙ্গে সে দিনের কথোপকথনটা পরিষ্কার মনে আছে। প্রথম দর্শনেই বেশ নাড়িয়ে দিয়েছিল।

বিশাখাপত্তনমের মাহি-ঝড়

যখন কোনও খেলোয়াড় তার জীবনে প্রথম বার মাঠে গিয়ে এ রকম বিশেষ কিছু ঘটায়, সেটা এক ধরনের আত্মপ্রকাশের মঞ্চ হয়ে থাকে। ধোনির জীবনে বিশাখাপত্তনম সে রকমই একটা স্টেশন (পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমে ১২৩ বলে ১৪৮ করেন ধোনি)। নতুন সতীর্থের ব্যাটে এ রকম ইনিংস দেখে দলের সকলে আত্মহারা হয়ে উঠেছিলাম। ম্যাচের শেষে আমরা খুব উৎসব করেছিলাম। ধোনির ইনিংস এবং আমাদের পাকিস্তানকে হারানো, দু’টো সেলিব্রেশনই হয়েছিল। নতুন একটা ছেলেকে আমরা পেলাম, যে কি না হেলায় বাউন্ডারির ওপারে বল পাঠিয়ে দিতে পারে। সারা জীবন ওটাই

Post a Comment

0 Comments