শামিম হাসান খান : কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আকুল উদ্দিন এর সঙ্গে গত ৫ই সেপ্টেম্বর করেনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রসঙ্গে এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হলে ডাঃ মোঃ আকুল উদ্দিন বলেন কোভিড-১৯ এর জন্য সচেতন প্রয়োজন। যথাক্রমে আলাদা রুমে থাকুন। খাবারের পাত্র ও অন্যান্য জনিস পত্র আলাদা রাখুন।পরিবার থেকে আলাদা গোসলখানা ও আবর্জনা আলাদা ভাবে রাখুন। মুখে মাস্ক ব্যাবহার করবেন এবং বারবার সাবান দিয়ে হতি ধুবেন। হাচি কাসির সময় মুখ ও নাক ঢাকুন। হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড় করা দিনে ৩-৪ বার। প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার যেমন পানি, ফলের জুস, স্যুপ ইত্যাদি। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাবেন যেমন ডাল , মাছ, মাংস, দিনে কমপক্ষে ২টি ডিম, গরম দুধ ইত্যাদি। পর্যপ্ত ফলমূল ( বিষেশ করে ভিটামিন সি সর্মদ্ধ ফল যেমন লেবু, মলিটা, কমলা, লটকন, আমলাকি, পেয়ারা , আনারস ইত্যাদি) ও শাক-সবজি। ঠান্ডা বাসি খাবার, ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার, শক্ত খাবার ও ফাস্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংক্স ওচিনি যুক্ত খাবার খাবেন না। ধুমপান না করা , পরিস্কার না করে একটা মাস্ক (সুতি কাপরের তিন স্তর বিশিষ্ট) একবারের বেশি পরিধান/ব্যাবহার না করা। হাইপারটেনশন, ডাইবেটিস ও এ্যাজমা থাকলে আগে চিকিৎসা চলবে। ঘরে সাধারণ ব্যায়াম করা, অধিক্ষণ শুয়ে না থাকা, সাহস রাখা আসাহত না হাওয়া।ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা, বড় করে শ্বাস নিয়ে ৫ সেকেন্ড ধরে রাখ, এরপর ছাড়া।এভাবে ৫বার শ্বাস নিয়ে ৬ষ্ঠ বারে শ্বাস নিয়ে দুটি কাসি দেওয়া। এভাবে দিনে ৪-৫বার করার অভ্যাস করতে হবে। কোভিড-১৯ রোগিদের সাধারণ চিকিৎসা: তিনি আরও বলেন, স্বল্প উপসর্গ অবস্থায় সাধারণত কোনো চিকিৎসা দরকার হয়না, যদি কোন অতিরিক্ত ঝুকি না থাকে। ঞধন ঘধঢ়ধ বীঃবহফ জ্বর/ব্যাথার জন্য (১+১+১) দিনে ৩বার খাবেন। ঞধন ঋবীড় ১২০মস ঠান্ডা বা হালকা কাসির জন্য (১+০+০) দৈনিক ১টি করে খাবেন ১০দিন। ঞধন গড়হঃবহব ১০সম যাদের এ্যাজমা ও এলার্জির সমস্যা আছে তারা (০+০+১) একটি করে রাতে খাবেন ১৫ দিন। ঞধন তরঃযরৎহ ৫০০ সম (০+১+০) দৈনিক ১টি করে ৭দিন খাবেন। ঞধন ঢরহপ-ই (১+০+১) দৈনিক ২টি করে ১৫দিন খাবেন। ঞধন ঈববারঃ (১+০+১)দৈনিক ২টি করে ১৫দিন খাবেন। ঈধঢ় গধীরসধ (১+০+১) দৈনিক ২টি করে ১৫ দিন খাবেন। ঞধন উড়পড়ঢ়ধ ২০০সম (১+০+১) বুকে শাঁ শাঁ থাকলে চলবে।নেবুলাইজেশন কোন ক্রমেই ব্যাবহার করা যাবে না।এতে ঘরের অন্য সদস্য আক্রান্ত হাওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়। কোভিড-১৯ রোগী কখন হাসপাতালে আনতে হবে: মারাত্বক দূর্বল হয়ে গেলে। জ¦র বেড়ে যাচ্ছে বা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে। মারাত্বক ডায়ারিয়া হলে।শ্বাস কষ্ট দেখা দিলে পালস অক্সিমিটারের রিডিং অক্সিজেন সহ ৯০ এর নিচে চলে গেলে। মুখ বা জিহবা নীল হয়ে গেলে।সবচেয়ে বড় কথা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা করোনা মুক্ত জীবন গড়া।
0 Comments