শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শোকাবহ ৩ নভেম্বর জাতীয় জেলহত্যা দিবস পালিত।

 


শামিম হাসান খানঃ
১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার স্মরণে  গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সাথে দেশব্যাপী পালন করা হয়েছে শোকাবহ জেলহত্যা দিবস। তারি অংশ হিসেবে কুমারখালী আওয়ামীলীগের আয়োজনে জেলা হত্যা দিবস পালিত হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর নির্মমভাবে খুন করেন তৎকালীন বাংলার দ্বিতীয় মির্জাফর মোস্তাক আলী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন।  দিবসটি যথাযথ মর্যাদা সাথে পালন করেন কুমারখালী আওয়ামীলীগ ও  সহযোগী সংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। এর মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো ব্যাজ ধারণ এবং দোয়া মাহফিল । মঙ্গলবার (৩) নভেম্বর সকাল ১০ টার সময় কুমারখালী আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। বিশেষ অতিথি সামসুজ্জামান অরুণ পৌর মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী আবু আহসান বরুন, সাবেক সভাপতি কুমারখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ। বীর মুক্তিযোদ্ধা এটি,এম, আবুল মনসুর মজনু, সভাপতি কুমারখালী মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতি, মমতাজ বেগম, সভাপতি উপজেলা মহিলা পরিষদ,আখতারুজ্জামান নিপুন সাধারণ সম্পাদক পৌর আওয়ামী লীগ,  হারুন অর রশিদ সভাপতি উপজেলা যুবলীগ, সালাউদ্দিন খান তারেক, শিলাইদহ ইউপি চেয়ারম্যান, তুহিন শেখ পৌর যুবলীগ সভাপতি, ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।  এর আগে সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সেলিম আলতাফ জর্জ  বলেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কারাবন্দী অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা।’ ‘কিন্তু ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার আদর্শ চির জাগরূক থাকবে। বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন- এটাই হোক জেল হত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

Post a Comment

0 Comments